Poultry News#পোলট্রি শিল্পে সংকট
দেশে আমিষের চহিদা পূরণে পোলট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এ শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ শিল্প লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে।
এ শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে দেশের চহিদা পূরণের পাশাপাশি পোলট্রি পণ্য রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ শিল্প নিয়ে যেসব অপপ্রচার চলছে, তা রোধ করা না গেলে অনেক সন্দেহপরায়ণ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগবে এবং এ শিল্প সংকটের মুখে পড়বে।
সোমবার যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অপপ্রচারের কারণে সংকটের মুখে পড়েছে পোলট্রি শিল্প। প্লাস্টিকের ডিম তৈরিসহ নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
কোথাও বলা হচ্ছে, মুরগির মাংসে রয়েছে ক্ষতিকর জীবাণু। আবার কোথাও বলা হচ্ছে, পোলট্রির খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যানারির বর্জ্য। এসব অপপ্রচারের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ শিল্পের ওপর। এসব বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
জানা গেছে, দেশের ৯৮ শতাংশেরও বেশি পোলট্রি ফিডে কোনো ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করা হয় না। কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোলট্রি ফিড তৈরি করে।
তাদের কারণে সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে নামিদামি পোলট্রি ফিড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানেরও। ট্যানারির বর্জ্য যাতে নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে না পারে, তা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে এবং ওই বর্জ্য যাতে যথাযথভাবে ধ্বংস করা হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। কিছু অসাধু ব্যক্তি ট্যানারির বর্জ্য মাছের খাবারেও মেশায়।
এ জন্য মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে ভোক্তারা এক ধরনের অস্বস্তি অনুভব করেন। অসাধু ব্যক্তিরা ভেজাল পণ্য তৈরি ও বিক্রির মাধ্যমে বেশি মুনাফা লাভ করতে চায়। তাদের কারণেই বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য ব্যবহারে ভোক্তারা সন্দেহপরায়ণ হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, বর্তমানে নিরাপদ পোলট্রি উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পোলট্রি পণ্য রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যাবে।
পোলট্রি পণ্য সম্পর্কে মানুষের অনেক ভুল ধারণা আছে, সেসব দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে নিরাপদ পোলট্রি উৎপাদন নিশ্চিত করতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জনগণকে জানাতে হবে।